রঞ্জনা

জনেশ লোটন রায়

রঞ্জনা-১

রঞ্জনা সেদিন
পাঁকা তেতুলের খোলসে
তুষের আগুনে ভাত রেঁধেছিলো
— -আমার জন্য।
রঞ্জনা সেদিন
খেলনার হাঁড়িতে নাড়ার আগুনে
শিম পুড়িয়েছিলো
— -আমার জন্য।
রঞ্জনা সেদিন
খেলনার ঘরে বউ সেজেছিলো
— -আমার জন্য।
রঞ্জনাও হারিয়ে গেছে
হারিয়ে গেছি আমিও!

রঞ্জনা-২

রঞ্জনা সেদিন;
– এই চল কড়ি খেলি, বলেই হেঁচকা টান– –
সুঠাম দেহের উদাম গতরে
গ্রাম্য হাফ পেন্টোলুনের কোমরে গোঁজা
চারটি খেঁজুরের আঁটি বের করলো।
আমরা কী যে খেলায় মত্ত!

রঞ্জনা-৩

তাহার সনে যাবো আমি ওপাড়ায়
লক্ষণদের বাড়ি। বাগানের উঁচু কড়াই
গাছটায় যে রয়েছে ঝুঁট শালিকের ঘর।
এবার হোগলার খোঁড়ল থেকে ঝটকা টানে
পিরান বের করে জড়ালো উদাম গতরে – ততদিনে
রঞ্জনা বুঝে গেছে ওপাড়ায় যেতে হলে
জড়াতে হয় উপরের গতরে পিরান একখানি– –

তখন বয়স আমার দশ, রঞ্জনার সাড়ে দশ।