অন্ধকার অথবা আলো
গভীর অন্ধকার থেকে উঠে আসা
প্রেতাত্মারা চারদিক গ্রাস করে নেয়,
বোধের ভিতরে প্রবেশের পথ
উন্মুক্ত দেখে উল্লাস উচ্ছাসে পড়ে ফেটে।
সুড়ংগ কেটে করে বুদ্ধির বিনাশ,
সে বুদ্ধি খুলে দেয় প্রবেশের পথ।
তারপর-দাসত্বের শৃংখল পড়ে নেয় স্বাধীনতা,
চিৎকার করে উঠে, বন্ধনে জড়িয়ে নেয় —
মত, পথ, আনন্দ, ভালোবাসা।
বিভক্ত মানুষ বিভক্তিকে মেনে নিতে নিতে
গভীর গম্ভীর রূপে—করে শক্তির উপাসনা।
শক্তি হয়ে যায় বিকল্প শক্তি-দ্বিতীয় ঈশ্বর।
প্রেতাত্মারা এসে দাড়ায় সমান্তরালে,
প্রসব করে আত্মার মৃত্যু।
উল্লাস তাদের, জন্মান্তরের ঋণ পরিশোধে।
অপেক্ষা তাই পুনঃজন্মের —
যেখানে মিলবে এসে সমস্ত শক্তি,
পুনঃ প্রত্যাশায় করবে জীবনের জয়গান।
আত্মারা ডানা মেলে দিবে—
স্বপ্নের সাথে উঠবে মেতে
খোলা হাওয়ার উৎসবে।।
নিষিদ্ধ
আনন্দ মন না মগজ?
হৃদয় অথবা মস্তিস্ক —
কে বড় কার চেয়ে?
কাকে ফেলে কাকে যায় রাখা?
মন সে — অনুভূতিতেই অস্তিত্ব
জল পড়ে, হাসিতে প্রাণ ঝরে,
কান্না সেও হৃদয় উৎসারিত জলোচ্ছাস,
ভালোবেসে বিরহপীড়িতা,
পাখির কলতান —
মগজ দেয় তারে বাধা নিয়ম শৃংখলে।
ব্যক্তি তুমি ব্যক্তি আমি —
দেখে যাই, মাঠের পরে মাঠ —
দৌড়াতে পারিনা, জল দেখি —
ঝাপানো যাবেনা,
রাতের রাস্তা, সেও নিষদ্ধ।
নিষিদ্ধতা সমস্ত আনন্দ জুড়ে —
করোটিতে নিয়মাদি বাধা পড়ে আছে,
নিয়ম নিষিদ্ধ করে হৃদয় এর উচ্ছাস।
হৃদয় কে — পারেনা, পারেনা বাধতে তারে
কাটাতারে ঘেরাটোপ উল্টে দিয়ে এসে বসে পাশে।
বলে — ভাবনাকে রাখো —
সে থাকুক করোটিতে আবদ্ধ,
পাখা মেলে দেই, উড়ে যাই —
যেখানে ইচ্ছা, তোমার-আমার।।