চেতনার রং
আমি তোমাকে দেখি –
আমি তোমাকে হৃদয় দিয়ে দেখি–
চেতনায় দেখি!
তোমার রং আমার কাছে
একেবারে স্বেতবর্ণ।
তুমি বললে,
মানুষের আবার রং হয় নাকি ?
আমি বললাম;
হয়, মানুষেরই রং হয়।
তুমি বললে,
তাহলে মানুষের রং চিনবো কি করে?
আমি বললাম,
চোখ বন্ধ করে —
চেতনায় ….
তুমি বললে,
তোমার চেতনার রং ভালোবাসা।
আমি বললাম,
চেতনার রং মনের গহীণ ক্যানভাস।
আমার বুকে বিঁধে সজারুর কাঁটা
জমিনের বুকে সজারুর কাঁটা – সাদাকালো
ফুটে আছে যেনো অনিন্দ্য বাংলার রূপকথা।
গ্রাম্যবধু কৃপনবসনে বাড়ন্ত শরীরে নত,
রঙিন সুতোয় আঁকে নকশিকাঁথার লীলা।
তুমি সুরম্য অতিথিশালায় লীলায় মত্ত নগ্ন-জিরো-শরীরে।
তখন গ্রাম্য-মাগির গতরে জ্বলে অশরীরী আগুন –
সে আগুন নিভাতে পারে না কৃষ্ণ-শীর্ণকায়-মরদ।
আমার বুকে বিঁধে সজারুর কাঁটা,
ক্ষত-নীল।
বৃষ্টি এবং ভালোবাসার কাব্য
১.
বৃষ্টি যখন পড়ে তখন কি জাগে প্রেম !
আনকোড়া কিশোর-কিশোরীও জানে
হঠাৎ বৃষ্টিতে যখন ভিজে তার নাদান শরীর।
২.
প্রখর রোদ, নাকি ভালোবাসি বৃষ্টি ?
এখন বোধহয় বৃষ্টিই ভালোবাসি, যদিও–
বৃষ্টিতে ভিজে না শরীর, ভিজে চলে মন
অবিরত ভিজে চলে পুরানো জামা-কাপড়,
ডাইরী, নোটবুক, চেনা সকাল, চেনা বিকেল,
রাত, দোকানপাট, বটতলা, বৃষ্টিগাছ,
মেঠোপথ, চিলেকোঠা, পুরানো ছাঁদ,
পুরানো ঘাট, মেঘলোনিয়া, পাতি হাঁস।
অবিরত ভিজে চলে কিশোর-কিশোরী, কেবল
ভিজি না আমি, ভেজে কেবল আমার পুরানো
সেই সব দিন, আর তুমি ….