সৈয়দ এনামুল তাজ’র কবিতা

খুলে দেখি ফুলের যৌবন

খুলে দেখি ফুলের যৌবন…
উপের সাত আসমান
নিচে  মদন-কবর
দুলতে দুলতে গাঙের শরীর
ডিঙি নৌকোর প্রণয় ধরে
হাঁটতে হাঁটতে বিলের বিলের ডাহুক
কণ্ঠে রক্তের নহর ফলে
রক্ত দেখো রক্ত দেখো
রক্ত আজব লাল
দুষ্মন্ত মরলো, দুষ্মন্ত মরলো
শকুন্তলা
জীবন তোমাকেই বলিদান।

জীবন

একটু পরেই ফাঁসি কার্যয কর করা হবে আপনার। কনডেম সেলে ম ম করছে হাওয়া। দু’জন পেয়াদা আপনাকে দু’দিক থেকে ধরে মঞ্চের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আপনার দু’পা শক্ত রশি দিয়ে বাঁধা হচ্ছে, দু’হাত পিছনে করে। আপনার মাথা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতেছে জল্লাদ। আপনার মা, ভাই-বোন, আপনার আব্বা গেটের বাইরে আপনার লাশের প্রতিক্ষা করছে। আপনি বুঝতে পারছেন আপনি মরে যাচ্ছেন … কিন্তু চিৎকার করে স্বজনদের ডাকতে পারছেন না, দেখতে পারছেন না।

জীবন, তোমাকে লাশ ভেবে কাঁধে করে বহন করছি অন্য আরেকটা জীবন …

অঙ্গগন্ধ

নাচঘরে খুলে রাখি বাম পাঁজরের হাড়
স্নানঘরে এ-দেহটা মনে হয় আয়না
কেউ এসে তাকিয়ে রয়
কেউ এসে ভেঙে যায়
                   থর থর

কেউ একজন বুকের ভেতর বসে
খিল খিল করে হেসে যায়
কেউ একজন গ্রহণ নয়
কবিকে ধারণ করছেন মমতায়

গোপনে গন্ধ পাই
                      কমলার

যারে বাসোভালো
মুখপানে তাকাও
তাকিয়ে থাকো
             তাকিয়েই থাকো..
দেখো, কিছু যদি মেলে
কখনো রাগ
                কখনো কাম
প্রতি ভোর
ঘুমভাঙা মুখের গন্ধটা ফুল হয়ে ফুটে; দোলনচাঁপা

দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে ঘুমায় যে ঘোড়া

ইচ্ছা করলেই শোয়া যায়
কেনো শোবে— দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে ঘুমায়
যে ঘোড়া; তারে কয় ভ
                তাবৎ
            — রঙহীন পাখির পালক

মাকামে ইব্রাহিম
যার তার শরীরে ফুটেছে কাগজের ফুল
ঢোল
ঢোল
ঢোল
যুদ্ধ তো নয়, যেন কামের মুকুল

বাম বুনির ঠিক দু’আঙুল নিচে
দুলে ওঠে প্রেম; লতিফায়ে কল্ব
               মায়াবী দাত্রীর বুকে
               দুধ’মা দুধ’মা বলে চিৎকার করে ওঠে টিনেজ বকুল, টিনেজ বকুল