দিপংকর রায় প্রতীক-এর দুটি কবিতা

অমৃত

সবাইকে পাশ কেটে যাচ্ছি, পাশ কেটে যেতে যেতে
অমৃতকেও আড়চোখে রেখে দিলাম জীর্ণ অলিন্দে।
উৎসবের আনন্দে যেমন জবাই হয়
গৃহপালিত অবলা
জবাই হচ্ছি জীবিকার পদক্ষেপে সোনালি আলোয়
ভুলে যাচ্ছে একটু আগেই রোপণ করা টবের গোলাপ
কেউ কেউ মেখে নিয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে
আমার আরণ্যক নির্জনতা, সমুদ্র স্বাধীনতা, জীবন দিগন্ত
নিঃসাড় পদাবলি…।

 

সমুদ্র মন্থন

এতটা চাওয়া ছিল না
চাই কি করে?
অত লম্বা হাত আমার নেই
কীভাবে পেড়ে খাব তোমার রস।
গিরিঙ্গিবাজদের পাল্লায় পড়ে হয়ত
ছুঁয়ে দেখেছি এক আধবার।
এত অল্পে ভুলে থাকি কি করে!
যেখানে তোমার সর্বস্ব দেয়ার কথা
কোন এক পিচ্ছিল আবরণে ফসকে
যাচ্ছি বারবার।
এ কেমন আধার অশ্রু
নদীতীরে উঠে আসে
কার্বন চাহনি থেকে থেকে
হু হু করে সমুদ্র মন্থনের ইতিহাস।