যে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে

শ্যামসন বুড়ন — নির্বাহী সম্পাদক, কীর্তনখোলা অনলাইন

আমার জীবনের ঘটনাগুলি জেনে জনসাধারণের কি কোন কাজে লাগবে? (অসমাপ্ত আত্মজীবনী— শেখ মুজিবুর রহমান)। ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত আমাদের রাজনৈতিক পাঠ্যক্রমে প্রচলিত বিকৃত ইতিহাস, কথ্য ও লোকজ রাজনৈতিক ইতিহাসের যে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন আমরা পেয়েছিলাম— তাকে চ্যালেঞ্জ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী।  কী আছে এই জীবনীতে? বরং প্রশ্ন করা যেতে পারে— কী নেই এই জীবনীতে যা আমরা এতদিন জানতাম না! আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের ইতিহাসের ক্যালেন্ডারে ১৫ আগস্ট বলতে একটি কালো তারিখ আছে!

অসমাপ্ত আত্মজীবনী জনমানুষের দরবারে উন্মোচিত হওয়ার ফলে, প্রথাগত সমস্ত মুখস্ত ইতিহাস মুখ থুবড়ে পড়ে আমাদের গৌরবজ্জ্বল-প্রামাণ্য-অজানা-অচেনা ইতিহাসের পবিত্র পায়ের কাছে। বাংলাদেশ নতজানু হয়, কুর্নিশ করে মাত্র ৫৫ বৎসর বয়সী এক ত্যাগী বিশ্বনেতার কাছে।  রাষ্ট্রবিজ্ঞান নতুন করে পুনঃপঠিত হয়। রচিত হয় নয়া সভ্যতার ইতিহাস। ১৯৭৫ পরবর্তী নতুন প্রজন্ম আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে রাষ্ট্রকর্তৃক জোড় করে চাপিয়ে দেয়া এক কদর্য মুখের দিকে।  গ্লানিময় এক মুখাবয়বে পুনঃস্থাপিত হয় মহাকালের এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের রচিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নিউটেষ্টামেন্ট। এই সাহিত্য মহাকাব্যিক— যা পাঠে পাঠকও বলবে— হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।

—আর এভাবেই আমাদের হাচু আপার আব্বা ক্রমাগতভাবে সমগ্র বাঙ্গালী জাতির জাতির জনক হয়ে ওঠে!