কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার- ২০১৭ পেলো ছয়জন তরুণ কবি ও লেখক। ৩০ জানুয়ারী ২০১৮, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে পাঁচ বিভাগে ছয় তরুণের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে। কবিতায় যৌথভাবে জুমজুয়াড়ি গ্রন্থের জন্য মিজানুর রহমান এবং নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ গ্রন্থের জন্য হোসনে আরা জাহান, কথাসাহিত্যে ‘এই বেশ আতঙ্কে আছি’ গ্রন্থের জন্য তাপস রায়, প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটকে ‘নৃত্যকী’ গ্রন্থের জন্য আলতাফ শাহনেওয়াজ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্যে ‘মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য’ গ্রন্থের জন্য মামুন সিদ্দিকী এবং শিশু-কিশোর সাহিত্যে ‘হরিপদ ও গেলিয়েন’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার লাভ করেছেন রাজীব হাসান।
কীর্তনখোলা অনলাইন পত্রিকার পক্ষ থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্যে ‘মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য’ গ্রন্থের লেখক মামুন সিদ্দিকী এবং নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ গ্রন্থের জন্য কবি হোসনে আরা জাহান – এই দুই লেখকের সাথে আড্ডার মধ্যদিয় তাদের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং বই নিয়ে আলোচনার করেছি। অন্য চার তরুণ লেখকের সাথে আড্ডার মাধ্যমে তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং বই নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা কীর্তনখোলা টিমের রয়েছে।
এ পর্বে মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য’ গ্রন্থের লেখক মামুন সিদ্দিকীর সাথে আড্ডা এবং বই নিয়ে আলোচনা করেছেন কীর্তনখোলা অনলাইন সাহিত্যপত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শ্যামসন বুড়ন।
—————————————————————————————————————————————–
চারুকলায় শীতের পড়ন্ত বিকেল। আমরা অপেক্ষা করছি জানা-অজানার দ্বিধা-দন্ধে। জানুয়ারীর ২৭ তারিখে এক অজানা গল্প শোনার জন্য। ইতোমধ্যে পাঠক জেনে গেছেন “মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য”-বইটির জন্য মামুন সিদ্দিকী বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাজ্ঞ পুরস্কার “কালি ও কলম” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
মোটা দাগে বলা যেতে পারে, ‘মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য’ আর কী থাকতে পারে? কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বহু অজানা অশ্রুত কথা আমাদের সামনে এসে হাজির হচ্ছে। যেখানে বাঙালির ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রাম ছুঁয়ে গিয়েছিল প্রতিটি মানুষকে, সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক চিত্র হয়তো ততটা অজানা আমাদের নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি মানুষকে যেভাবে স্পর্শ করেছে, ক্ষত-বিক্ষত করেছে, করেছে বিধ্বস্ত-বিছিন্ন, ব্যক্তিমানুষের স্মৃতিতে কত না ভাবে বিরাজ করছে – সেইসব অমলিন দিন এবং লেখার বিষয়বস্তু এখনও অনালোকিত, অনালোচিত এবং অনেকটা অজ্ঞাত।
কিন্তু মামুন সিদ্দিকী অজ্ঞাত থাকেন না। মামুন সিদ্দিকী কিছুই আজ্ঞাত রাখতে চান না। তাইতো তিনি এসেই মুক্তিযোদ্ধাদের মত শক্তপোক্ত হাতটি বাড়িয়ে যখন বলেন-“ইন্মানূয়েল”; তখন আমাদের চেতনার রাজ্যেও অজানা দরজা-জানালা খুলে যায় – শেষ বিকেলের নরম হলুদ শীতার্থ আলোতে। আমরা ঘন হয়ে বসি;- শুরু করি ৭ মার্চের নির্দেশনাকে মাথায় রেখে।
-কালি ও কলম পুরস্কার প্রপ্তি। অভিনন্দন আপনাকে।
-ধন্যবাদ আপনাদের। ধন্যবাদ কীর্তনখোলাকে। ধন্যবাদ পুরস্কার গ্রহণের আগেই আমার মত একজন লেখক-গবেষকের প্রতিক্রিয়া শোনার জন্য আপনারা সাগ্রহে সমবেত হয়েছেন।
-ধন্যবাদ। তো আমরা শুরু করি সরাসরি।
-জ্বী।
-কেন আপনি অজানা ভাষ্য বলছেন? কী এমন অজানা, যা পাঠক জানে না? মুক্তিযুদ্ধ সর্ম্পকে এমন কী নতুনত্ব রয়েছে যাতে করে বইটি “কালি ও কলম” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে?
– আমি সংক্ষেপে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি।
-জ্বি, বলুন।
-দেখুন, প্রথমত অজানা ইতিহাস সর্ম্পকে আমি বলতে চেয়েছি;- মুক্তিযুদ্ধের তৃণমূলের ইতিহাস; যা এতদিন উন্মোচিত হয়নি, আবিস্কৃত হয়নি। কী রাষ্ট্রীয় ভাবে অথবা প্রচলিত ধারায় ইাতহাস রচনার ধারাবাহিকতায়। “স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র” মূলতঃ সরকারী প্রকাশনা। এছাড়া, অন্যান্য ব্যক্তি বা একাডেমিক ইতিহাস মোটাদাগে উপরি কাঠামোর প্রচলিত জানা তথ্যের সংকলন অথবা অনুলিপির ইাতহাস মাত্র। কিন্তু আমাদের মহান গর্বের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ব্যাপকতা এত বিশাল যে, তাকে দেখতে হবে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এবং তৃণমূলের জনচেতনার প্রেক্ষাপটে।
মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধ করেছিল প্রন্তিক জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশ গ্রামের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি জনসাধারণ। এবং এই তৃণমূলের ভূমিকা, অংশগ্রহণ বরাবরের মত উপেক্ষিত, অস্বীকৃত ও অনালোচিত। আমি সেই তৃণমূলের ইতিহাসকেই প্রাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি – দীর্ঘদিন মাঠপযর্ায়ে গবেষণার মাধ্যমে।
-কেন এতদিন এই জন-ইতিহাসের চর্চা হয়নি?
-আসলে, সেই সুযোগ ছিল না। ১৯৯৬ সালে আঃলীগ ক্ষমতায় আসার পর বিকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হলো। ফলে, সত্য ও প্রামাণিক দলিল দিয়ে তৃণমূলের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তাদের অংশগ্রহণ ও আত্মত্যাগকে জনসন্মুখে উন্মোচন করার সুযোগ আসে। তাছাড়া, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের মাধ্যম্যে আমাদের মত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তৃণমূলে যাওয়ার প্রবনতা তৈরী হয়। ফলে, কপি সর্বস্ব ইতিহাস রচনার কাজ বাদ দিয়ে (যা অনেকেই করছে), যখন গ্রামে গ্রামে গবেষণার মাধ্যমে তৃণমূলের ইতিহাস রচনার কাজে হাত দেই তখনই জানতে পারি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নতুন ইতিহাস, যা এতদিন প্রথাগত ইাতহাসের বাইরে ছিল। যেমন ধরুন, ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে তৎকালিন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ তাজউদ্দিন আহম্মেদ বলেছিলেন, “গ্রামে গ্রামে পঞ্চায়েত কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে”। তাজউদ্দিনের এই ঘোষণার পরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পঞ্চায়েত কমিটি গঠন হয়, কমিটি মিটিং হয়, মিটিং-এর রেজ্যুলেশন হয়। এবং এই কমিটি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা ও পাক-বাহিনীর বিভিন্ন তথ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সরবারাহ করেন। যার দালিলিক বা প্রামানিক সত্যতা এখন সংরক্ষণ করা হয়েছে অথচ তা এতদিন প্রচলিত ইতিহাসের ভারী ভারী বই-র নিচে চাপা পড়ে ছিল অথবা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে তা জানতে দেয়া হয়নি!
-তারপর?
-তারপর, মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী ত্রিপুরার ভূমিকা। আমাদের জানা ইতিহাস হলো, কোলকাতায় প্রায় ১ কোটি শরণার্থী মুক্তিযুদ্ধের সময় আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু আমরা কতজন জানি, ত্রিপুরার জনসংখ্যা তখন ছিল ১৬ লক্ষ। কিন্তু ত্রিপুরার মানবিক মানুষগুলি ১৯৭১ সালে আরও আশ্রয় দিয়েছিল ১৫ লক্ষ জয়বাংলার মানুষকে। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার ভূমিকা ঐতিহাসিক মযর্াদার দাবিদার। সীমিত সামর্থে ত্রিপুরা সেদিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিয়েছিল যুগান্তকারী ভূমিকা। সরকার ও সমাজের প্রতিটি মানুষ স্বীয় সামর্থ ও শক্তি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সুদৃঢ় অবস্হান নিয়েছিল। স্হানীয় জনগণের অন্তরিকতা ও স্ব-স্ব অবস্হান থেকে পালন করেছে যথোচিত ভূমিকা। তারা মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গেছেন চুড়ান্ত লক্ষ্যে। এজন্য শত সমস্যা ও যন্ত্রণাকে তারা মাথা পেতে নিয়েছিলেন।
-আমরা ত্রিপুরার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এরপর আর কী অজানা বিষয় আছে বইটিতে?- সাংস্কৃতিক আন্দোলন।
-মুক্তিযুদ্ধে তৃণমুল জনগণকে উদ্দীপ্ত ও উজ্জিবিত করতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন এক বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। আসলে, আমাদের মনোজগতে “মুক্তির গান” ছাড়া অন্য কোন ইতিহাস আমরা মনে করতে পারি না। এটা আমাদের জাতীগতভাবে তথ্যের সীমাবদ্ধতা। বস্তুত, মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রামে গ্রামে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গ্রামবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবলবৃদ্ধি, জনমত গঠন, মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার জন্য তহবিল গঠনে ব্যাপক কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল। আসলে, মুক্তিযুদ্ধ ছিল মনের যুদ্ধ। একদিকে ছিল মুক্তির আবেগ, অন্যদিকে ছিল মুক্তির বেগ, সব-সহ মুক্তিযুদ্ধ। এ প্রক্রিয়ায় সাংস্কৃতিক আন্দোলন যে গৌরবজ্জল ভূমিকা পালন করেছিল, তাতে করে ৫০ জন তৃণমুল সাংস্কৃতিক কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।
-এবং তারপর।
-চুতর্থত যুদ্ধ শিশু, দত্তক আইন ও গর্ভপাত আইন
-আমার এই বইতে ১৫ জন যুদ্ধ শিশুর নামের তালিকা ছাপা হয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যার বাইরে রয়ে গেছে আরও অনেক অনেক যুদ্ধশিশু। যাদের পরিচয় কেউ প্রকাশ করতে চায়না অথবা চায়নি বিভিন্ন কারণে। মুক্তিযুদ্ধের পরে লক্ষ লক্ষ নির্যাতিত নারীর গর্ভপাত, পাকি-সন্তান প্রসব ইত্যাদি বিভিন্ন অশ্রুসজল ঘটনার কথা এখন আর কোন নারী অথবা সেই জারজ বা অবৈধ সন্তান সামাজিক-রাজনৈতিক লজ্জার কারণে প্রকাশ করতে চায়না! কিন্তু যুদ্ধকালীন সময়ের অবস্হা এবং ১৯৭২ সালের ধর্ষিতা নারী সমাজের দুঃখ-কষ্ট, হতাশা ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু এক যুগান্তকারী আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এক. দত্তক আইন, দুই. পরিত্যাক্ত শিশু আইন। যার ফলে, এই সব যুদ্ধ-শিশুদের বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক মানবিক সাহায্য সংস্হার মাধ্যমে পুর্নবাসন করা সম্ভব হয়েছিল। অন্যদিকে, পাকি-সৈনিকদের দ্বারা গর্ভবতি নারীদের গর্ভপাতে সাহায্য করেন বিভিন্ন বিদেশী ডাক্তার-নার্স। এ প্রসঙ্গে, যুদ্ধশিশুদের আশ্রয় ও পুর্নবাসনে স্বগর্ীয় মাদার তেরেজার কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-প্রিয় লেখক, তাহলে ৪টি অজানা বিষয়ে বিশেষভাবে বৃহত্তর পাঠক সমাজ তথ্য সমৃদ্ধ লেখা পড়তে পারবেন। এর বাইরে অন্য একটি প্রশ্ন ছিল; মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যাত্বাত্তিক বির্তক। আপনার বইয়ে এই বিষয়ে কোন আলোকপাত করা হয়েছে কিনা?
– দেখুন, মুক্তিযুদ্ধকে দেখতে হবে এর তীব্রতা দিয়ে, এর মাত্রা বুঝতে হবে গভীরতা দিয়ে। সংখ্যাত্বাত্তিক বির্তক রাজনৈতিক কুটকৌশল। এই অপশক্তি জানে না, “৬ দফা সমর্থন করার কারণে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে চামড়া ছিলে, ছয় টুকরা করে জবাই করা হয়েছিল”! এই অজানা তথ্য প্রচলিত একাডেমিক ধারার ইতিহাস চর্চ্ার বাইরে। বস্তুত, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সমাধিকারের ভিত্তিতে। এক আদর্শ ভিত্তিক আধুনিক প্রগ্রতিশীল দেশের জন্য। সেই দেশের জন-ইতিহাসের বোধ-আকাংঙখা-আত্মত্যাগের ইতিহাসকে চাপা দিয়ে এমন রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব না। বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের ইতিহাসই মূলতঃ মৌলিক সত্য। আর এই বিপ্লবী বাংলার ইতিহাসকে না জানার কারণে, কিছু পাকি-সৈনিক ভেবেছিল; পূর্ব পাকিস্হানের কিছু আঃলীগ নেতা, কিছু হিন্দু অধ্যাপক, আর কিছু তরুণ বামপন্হী নেতাকে হত্যা করলেই পাকিস্হানের অখণ্ডতা রক্ষা পাবে। কিন্তু তাদের এই তত্ত্ব ভুল ছিল – তৃণমূলের ইতিহাস না জানার কারণে।
-পুরস্কার পাবার পরে আপনার সর্ম্পকে আপনার অনুভূতি বা মূল্যায়ন কী?
-জীবনকে সাজানোর জন্য আমি লেখক। লেখালেখিই আমার প্রথম কাজ। বোধের জায়গা থেকে যদি ইতিহাস চর্চা করি, তবে আরও কাজ করার সুযোগ আছে। পুরস্কার অনুপ্রেরেণা জোগায়। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই উপজেলা ভিত্তিক গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে লিখে যাচ্ছি। চিন্তার ইতিহাস, বোধের ইতিহাস – এটাই আমার লেখার ধারা।
-আমাদের সময় দেয়ার জন্য অযুত ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
-আপনাদের ও প্রিয় পাঠকদের জন্য শুভেচ্ছা।