ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। উৎসব মানে ঐক্য। সবার সাথে, সবার মিলন। তাইতো, সবাই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে। বাড়ি মানে শেকড়। শেকড় মানে ইতিহাস-ঐতিহ্য-গণমানুষের ভালবাসা, শ্রদ্ধা, স্নেহের, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারাবাহিক গল্প।
এ গল্পে সুখ-দুঃখ- জন্ম-মৃত্যু ছিল; এসব আছেও বটে। তবে এখন তা সবার জন্য নয়। মুক্তবাজার অর্থনীতি মানুষের মাঝে বিভেদ-বৈষম্য যেমন তৈরী করে, তেমন করে উৎসবের পণ্যায়ন। ফলে, বৈষম্য আরও বাড়ে। যাকাতের লাইন বাড়ে টিকিটিকির লেজের মত! তবে, লেজই সর্বশেষের শেষ কথা নয়। মাথাটাই আসল। গাছের গোড়াটা যেমন মাটিতে রোপিত থাকে তেমন আসল মানুষের মাথাগুলি থাকে গাও-গেরামের মাটিতে গ্রথিত! সেই মাটির কাছে সবার ফিরে যাওয়ার আকাংঙ্ক্ষার নামই তো উৎসব-আখেরে ঈদ।
দীর্ঘ ২৯/৩০ দিন শারিরীক-মানসিক- আত্মিক সিয়াম সাধনা ও সংযমের পর মানুষ হয়ে ওঠে রূপান্তরিত মানুষ। আশাবাদিতার জায়গা হচ্ছে-এই রূপান্তরিত নতুন মানুষগুলি পাল্টে দেবে বাংলাদেশকে।
ঈদ হোক নতুন মানুষ দ্বারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার শুভসূচনার উৎসব। ঈদ হোক সার্বজনীন উৎসব।
কীর্তনখোলা সাহিত্য পত্রের পক্ষ থেকে সকল পাঠককে জানাচ্ছি ঈদের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।