বিশ্বব্যাপী প্রাণহন্তারক এই মহামারীকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী ঈদের প্রথম বাংলা ইসলামী গান দিয়ে শুরু করতেই সাচ্ছন্দ বোধ করছি;
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’
যতই দীর্ঘ হোক মহামারী করোনা,
যতই দুর্যোগ হোক প্রাকৃতিক–
যতই বিপন্ন হোক মানবতা,
যতই বাড়ুক ব্যবধান বৈষম্যের,
যতই সংকীর্ণ হোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি,
সিয়াম সাধনা শেষে প্রকৃতির নিয়মে
শাওয়ালের চাঁদ উঠবেই।
করোনা মহামারিতে যেসকল পরিবার হারিয়েছে তাদের প্রিয়তম পরিজন, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানে’ ভেসে গেছে সামান্য বসতবাড়িটুকু, ভেসে গেছে খাদ্য-শষ্য, যা কিছু সম্পদ … আজ ঈদ তাদের জন্য কী বারতা নিয়ে আসেবে!
এ মহামারি, এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার, শক্তি, সাহস, সক্ষমতা দাও তাদের। আজ এই আনন্দের দিনে বুকে অনেক সাহস নিয়েই তাদের স্মরন করি, সমবেদনা জানাই।
একইভাবে কাজী নজরুলের প্রার্থনা সংগীতের আশ্রয় নিয়েই প্রার্থনা জানাতে চাই;
‘দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য্য, হে উদার নাথ,
দাও প্রাণ।
দাও অমৃত মৃত জনে,
দাও ভীত-চিত জনে, শক্তি অপরিমাণ।
হে সর্বশক্তিমান।’
ঈদ হোক সম্প্রীতির, সাম্যের, ঈদ হোক সবার –
ঈদ হোক মানবিক, আনন্দের বার্তাবহ।
ঈদ মোবারক।