প্রথমে পুলিশ, পরে কবি। না, পরিচয়টা এভাবে দেয়া যেতে পারে-প্রথমে কবি, পরে পুলিশ। সৈয়দ এনামুল তাজ প্রথমত কবি, দ্বিতীয়ত কবি এবং শেষ পর্যন্ত কবি। গরম ভাতের জন্য পুলিশি দায়িত্ব পালন কিন্তু মননে রাইফেলের মত চকচকে শব্দ নিয়ে খেলেন; এইতো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্বের উত্তারিধিকার! কবির ভাষায়-‘‘দাদা, আমি একটা বিচ্ছিরি চাকরি করি।’’ কিন্তু এই বিচ্ছিরি চাকরির মধ্যেই একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, একজন পুলিশ, একজন কবি অবলিলা ক্রমে কবিতার রাইফেল দিয়ে যে সব শব্দ বের হয়, তা আমাদের চারিপাশের দেখা-শোনা-বোঝা অথবা মিমাংসা হয় বোধের ভিতরে। যেমন; ‘‘আমি হুদা বুঝি-পিরিতি আমার মতন কাইল্যা মাইনসের লাইগ্যা না।’’ ফলে, কবি প্রার্থনায় বসেন। বলেন-‘‘শয়তান বলো কিংবা ভগবান বলো, প্রেমই আমার প্রার্থনা জেনো।’’
এভাবেই ধ্যানমগ্ন হয়ে যায় পুলিশের প্রেম! কী সেই প্রেম? জেলপাঠকের জবানবন্দি থেকে বলছেন তরুন কবি সৈয়দ এনামুল তাজ।