আকাশ সংস্কৃতি – দিল তো পাগল হ্যায়

কুমার তরুন

“When you talk about seeing what is real to me, there is an invisible reality behind the visible reality.” – Jane Rosen

বিশ্বায়নের এ যুগে দখলদারগণ আগেকার মতো সরাসরি কোনো দেশ দখল করে না। দখল করে বটে, তবে অন্য কোনো ফর্মে, অন্য কোনো মিডিয়ায়। নয়া আধিপত্যবাদের অন্য রূপ, মিডিয়া আধিপত্যবাদ। মিডিয়ার মাধ্যমে একটি দেশের সংস্কৃতি দখল করা এখন বিশ্বায়নেরই অংশ, যা সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদ তৈরি করে। দেশের ভূমিদখলের যেহেতু দিন শেষ, সেহেতু ভূমি নয় ভূমির উপরে আকাশটাকে দখল করো। আকাশেরও নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। তবে সেটা তাদের কারখানায় কর্পোরেটদের উৎপাদিত সংস্কৃতি। সে-সংস্কৃতির মূল লক্ষ্য হয় ভোগবাদ। ভোগ করতে হলে পণ্য কিনতে হবে।প্রয়োজন থাক বা না থাক। প্রয়োজন না থাকলে কৃত্রিম প্রয়োজন সৃষ্টি করতে হয়। চাহিদা পূরণের জন্য ক্রয় ক্ষমতার দরকার। ক্রয়ক্ষমতা সৃষ্টির জন্য দরকার কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থানের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন এবং এনজিও-ও। ক্ষুদ্রঋণ। চটকদারি শব্দ সামাজিক ব্যবসা।ব্যবসার চূড়ান্ত লক্ষ্য মুনাফা। মুনাফা করতে হলে পণ্যের বাজার দরকার। বাজার বানাতে হয় বিপণনে, বিজ্ঞাপনে, বিনোদনে। লক্ষ্যভুক্ত পণ্যটি কিনতে হলে পণ্যটি সম্পর্কে ভোক্তার সিদ্ধান্ত গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে চায় আকাশ সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতি তাই ভোক্তার মনটাকে চূড়ান্ত বিচারে টার্গেট করে। মনটাকে দখল করতে পারলে – সে তার চিন্তাকাণ্ড ও জ্ঞানকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে পারবে। রিমোট কন্ট্রোল যাদের হাতে থাকবে, তাদের ইচ্ছামতো মানুষের চিন্তাকে, সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে, পরিচালনা করবে। ফলাফল, আমি চলবো এক অদৃশ্য, লোভনীয়, ভোগী, বাজারী সংস্কৃতিতে। আমার চব্বিশ ঘণ্টা হবে আমার বাজার। হিসাব ক’রে দেখা যায়, চব্বিশ ঘণ্টায় আমরা বহুজাতিক কোম্পানির ১২টি পণ্য ব্যবহার করি এবং এই হার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। আমি, আমার পরিবার থেকে সমগ্র সমাজ হবে, আকাশসংস্কৃতি নিয়ন্ত্রিত বাজার। যে বাজার থেকে তারা মুনাফা করবে আমার অজান্তে, অদৃশ্যে কিন্তু রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে, অনুমোদনে।
তাদের দেশের পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ না করলে আমাদের সকাল হবে না। এক চামচ ডাবরের হানি না খেলে কি ঘুম হয়? একজন ভোক্তা নয়, সমগ্র পরিবারটিকে যদি ভোক্তায় রূপান্তরিত করতে হয়, তবে মাদক লাগবে।আকাশ সংস্কৃতির মধ্যে আছে সেই মাদক এবং এর মাদকতা আমাদের পাল্টে দিচ্ছে তাদের মতো করে।আকাশ সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় দাপট এবং দখল এখন ভারতীয় টিভি চ্যানেলের। একপাক্ষিক লোভনীয় ফর্মে বিনোদন বিক্রেতা, আখেরে তাদের পণ্যের বাজারজাতকরণ। একপাক্ষিক বিশ্বায়নের কারণে বিমান ও পাখি ছাড়া যেহেতু বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল ভারতের আকাশে প্রবেশের অনুমতি নেই সুতরাং বাংলাদেশের বাজার, মানুষের সংস্কৃতি, তার পোশাক, ভাষার উপর তার নিয়ন্ত্রণ একপাক্ষিক এবং আগ্রাসী। অনেকটা গ্রামের দরিদ্র ঘরের বৌকে যেভাবে পাত্তা দেয় না তার কোটিপতি স্বামী। অতএব দীর্ঘমেয়াদি দখলদারিত্বের স্বার্থে এদেশের যুব সমাজের জন্য রয়েছে যৌনতাসর্বস্ব হিন্দি নাচ, গান, সিনেমা, ভারতীয় মোটরসাইকেল এবং ফেনসিডিল (ফেনসিডিল ভারতের জনগণের কাছে একটি নিষ্পাপ কফ সিরাপ!)। মালাইকার ‘মুন্নি’ও ক্যাটরিনার ‘মাই নেম ইজ শিলা’র সাথে ফেনসিডিলের জম্পেস রেসিপি। একটি সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে ধ্বংস করতে মিডিয়া সম্রাটদের পরিচালিত চ্যানেলগুলোকে চ্যালেঞ্জ করবার মতো ক্ষমতা, আমাদের দেশের টক-শো মার্কা চ্যানেলগুলোর এবং আমাদের যুবসমাজের ভবিষ্যতে থাকবে কি-না, তা ভেবে-দেখার সময় এসেছে।
ভয়াবহ সর্বনাশটা হচ্ছে আমাদের শিশুদের নিয়ে। আগে তারা ইংরেজিতে কার্টুন দেখতো। এখন দেখে হিন্দিতে। ‘পেয়ার’শব্দের মানে কী? তা শিশুদের প্রথম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সিরিয়াল নামক মাদকে আক্রান্ত শিক্ষিকা প্রশ্ন করলে – এ জাতি যেন অবাক না হয়! নারী যেহেতু সংসার নামক সমাজটাকে এবং বাজার থেকে পণ্য ক্রেতা, ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অথবা স্বামীকে সংশ্লিষ্ট পণ্যটিকে কেনার জন্য বায়নাকারী, সুতরাং বড় মার্কেট ও টার্গেট হচ্ছে এখানে – নারীকে জয় করো। নারীকে দখল করো। মাধ্যম হিন্দি-বাংলা সিরিয়াল। তিনটি দৃশ্য, সাথে তিনবার বিজ্ঞাপন বিরতি।উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত স্টার প্লাসের হিন্দি সিরিয়ালে আর মধ্য-নিম্ন থেকে বস্তিবাসী পর্যন্ত দেখবে কলকাতার বাংলা সিরিয়াল। বস্তিবাসীর অবস্থা আরো করুণ। ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে সে সূর্য দেখে না। সূর্যের হাসিটুকু দখল ক’রে, আড়াল ক’রে দাঁড়িয়ে থাকে কোনো কিস্তি ভাই বা আপা। রাতের আকাশটুকু দখল করে – বাংলাদেশের আপারা নয়, কলকাতার দিদিরা। দিদিরা কীভাবে রাঁধে, কীভাবে চুল বাঁধে, শাড়ি-থ্রিপিসের ডিজাইন থেকে প্রেসার কুকার, কোমরে ব্যথা, কোন স্যানিটারি ন্যাপকিন স্বাস্থ্য উপযোগী – কী শিক্ষা নেই এই সব চ্যানেলে?
এই সব সিরিয়াল দেখার জন্য ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি লাগে না। চুক্তি লাগে বটে, তবে সেই রিমোট কন্ট্রোলটি কখন, কার হাতে থাকবে – শিশু থেকে কিশোর, কিশোরী থেকে মা, মা থেকে বাবা পর্যন্ত। শুধুই চ্যানেলের অদল-বদল। এই অদল-বদলে পছন্দের তত্ত্ব জড়িত। তবে নোবেলজয়ী অর্মত্য সেনের পছন্দের স্বাধীনতা ও সমতার তত্ত্ব নেই এখানে। বড় মাছের সাথে ছোট মাছের সমতা শুধু নামে, কাজে নয়। আমরা যারা ছোট মাছ, কারেন্ট জালের মতো আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছি জালে-ফাঁদে-প্রলোভনে অথবা জড়িয়ে ফেলা হয়েছে আমাদের নিজস্ব সত্তাকে, বিভক্ত করা হয়েছে আমাদের সম্মিলিত সময়কে, বিভক্ত করা হয়েছে ব্যক্তিকে, পরিবারকে, সমাজকে, ঐক্যকে।টিভির সামনে থেকে আপনি উঠে যাবেন, কিন্তু আপনার ধ্যান-জ্ঞান-মন পড়ে থাকবে সিরিয়ালে।তারপর কী হলো? কী হলো? “মমতার মমতা আমরা পেলাম কি-না”- এই মৌলিক প্রশ্নটিকে ভোঁতা ক’রে, ভুলিয়ে দিতে যদি পারা যায়, যদি “তিস্তা” শব্দটি সম্পর্কে আমাদের প্রশ্ন করার ক্ষমতাটাকে নষ্ট করে, মেনে নিতে, মানিয়ে দিতে পারে এই আকাশের অদৃশ্য সংস্কৃতি নামক দৃশ্যমান মাদক, তবে বাজারের সাথে-সাথে রাষ্ট্রের বিজ্ঞানও পাল্টে যাবে।আলামত স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে-ধীরে।
ভারতীয় হিন্দি-বাংলা সিরিয়ালে কী দেখছি অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কী শেখানো হচ্ছে আমাদের? নারীর বিরুদ্ধে নারী, স্ত্রীর বিরুদ্ধে শাশুড়ি, স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী, যৌনতা, পরকীয়া, সম্পত্তির লোভ, নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র, অমানবিক কুটিলতা, নির্মম নির্যাতন, আবেদনময়ী ফ্যাশন, ভোগবাদ, মাল্টিন্যাশনালের মাল্টি বিনোদন বাণিজ্যের ঝকমারি রেসিপি।সংস্কৃতির এই কর্পোরেটাইজেশন অথবা বিশ্বকর্পোরেটদের এই তথাকথিত আধুনিক চোখধাঁধানো সংস্কৃতি যখন আমরা গোগ্রাসে গিলছি, পান করছি, ব্যবহার করছি, তখন নারীর অধিকারহীনতা, বঞ্চনা, নির্যাতনকে নিয়তি ও ভগবানের লীলাখেলা হিসেবে নারীকে মেনে নিতে পুরুষতন্ত্র এবং পুরুষতন্ত্রের পোষা নারীতন্ত্র বাধ্য করে, প্রলুব্ধ করে, উত্তেজিত করে। রক্তে মুক্তবাজারের নাচন লাগায়। নারী তুমি এই শাড়ি, এই ফ্যাশনের লেহেঙ্গা, এই গেঞ্জি, এই জুতা, এই লিপস্টিক, এই ট্যাবলেট, রূপবতী হওয়ার গুপ্ত রহস্য; তোমাকে জানতে হবে, শিখতে হবে।ঘর-গৃহস্থালির সবকিছু যদি এমন না হয়, তুমি আধুনিক নও।তুমি আধুনিক হতে চাও? ভোগ করো, ভোগী হও।জীবনকে উপভোগ করো, অন্য (ওদের) দেশের পণ্য দিয়ে। বিজ্ঞাপন শেখাচ্ছে, আমরাই সেরা। আমরা বিশ্ব ও বিশ্বকাপজয়ী!

একটি প্যারাডক্সিকাল কথপোকথন:
তুমি বেড়াতে চাও? চলে এসো এখানে।
তুমি অসুস্থ? চলে এসো এখানে।(কলকাতার নিউমার্কেটের আশেপাশের হোটেলগুলি বেঁচে আছে শুধু বাংলাদেশীদের টাকায়।)
তুমি ছেলে-মেয়েকে উন্নত লেখাপড়া করাতে চাও? চলে এসো এখানে।
তুমি হাল ফ্যাশনের শপিং করতে চাও? চলে এসো এখানে।
তুমি আধুনিক নারী পাঠিকা হতে চাও? সানন্দা পড়।
সাহিত্যে আগ্রহী? দেশ পড়।
মনের মানুষকে খুঁজছো? সুনিল-গৌতম আছে না।(তানভীর মোক্কামেলের সেরা কাজ “লালন”ছবিটির পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশীদের নেই)
কোরবানি দিতে চাও? আমাদের রয়েছে ভেজাল বিহীন গরু। ( হৃদরোগ বানিয়ে চলে আসবে এখানে।)
কোমরে ব্যথা? তো মুভ লাগাও।
শাহরুখকে দেখবে? চলে এসো বম্বের বান্দ্রায়।
আমাদের টিভি প্রোগাম নকল করতে চাও? চলে এসো।আমরা নকল সাপ্লাই করি, খুব যত্ন ক’রে।(কে হতে চায় না কোটিপতি?)
দেশাত্মবোধ শিখতে চাও? চলে এসো।
ঈদ-পুজোয় আনন্দ ফুর্তি, মাস্তি করতে চাও? চলে এসো।
বিএসএফ-এর গুলি খেতে চাও? চলে এসো।
যেহেতু আমরা বিনোদন সামাজ্যে বিশ্বজয় করেছি, সেহেতু আমরাই নেতৃত্ব দেবো তোমাদের সংস্কৃতিকে।দিচ্ছেও বটে। গঙ্গা-পদ্মার নামে। ‘এক দেশ-এক ভাষা-এক সংস্কৃতি’ ছিল এই নামে। মা-মাটি-মানুষের নামে।পিতৃপুরুষের ভিটার নামে। নামে-বেনামে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে। ঐক্যের-মিলনের একপাক্ষিক স্বার্থে।রবীন্দ্র-নজরুলের নামে। ভালোবাসার টানে, পাশে আনার স্বার্থে। পাশাপাশি থেকেও পাশে আসতে খরচ লাগে।অনেক খরচ এখানে আসতে। অনেক ঝক্কিঝামেলা। দরকার কী? বরং আমরাই চলে যাই তোমাদের দেশে, সমাজে, পরিবারে, নারী-পুরুষ-শিশুর মনের মধ্যে! তোমাদের মনের মালিকানা এখন আমাদের। তোমাদের মানিব্যাগের টাকা কীভাবে খরচ ক’রে আমাদের পণ্য কিনতে হয়, সেটা শেখার জন্য বিপণন বিশেষজ্ঞ ফিলিপ কাটলারের কাছে যেতে হবে না। আমরাই যথেষ্ট।“ আমরা প্রতিবেশীকে আপনার মতো প্রেম করি” খ্রিষ্টধর্মের এই মূলমন্ত্রটাকে আমরা আমাদের এক নম্বর বিপণন কৌশল বলে মনে করি। বিনোদন, বাণিজ্যের পাশাপাশি আমরা হিন্দুত্ববাদ প্রচার, রপ্তানি করি সব সিরিয়ালে, সব গানে, নাচে, সিনেমায়, রাষ্ট্রাচারে, এমনকি হোয়াইট হাউসেও এখন আমরা হ্যাপি দিওয়ালি করি। আমরা ধার্মিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ!

আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা
দরিদ্রের বৌ যখন সকলের ভাবি, তখন ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ভারতীয় চ্যানেলগুলোর এই আধিপত্য মূলত আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার সুযোগে ওরা আমাদের মন ও মাথার মধ্যে ওদের বিনোদন ও বাণিজ্যের মেমোরি কার্ড ইনসার্ট ক’রে ছেড়ে দিয়েছে।ফলে আমরা দম-দেয়া পুতুলের মতো ওদের খেলায় ও খেয়ালে চলি এবং চলবো। আশংকা করি, অদূর ভবিষ্যতে ধ্বংস হতে পারে একটি বড় যুব সম্প্রদায় শুধুমাত্র ফেনসিডিলের কারণে। আমাদের শিশুরা এবং তাদের আধুনিক অভিভাবকরা বাংলাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে পারে। তারা হিন্দিতে কথা বলবে। তারা স্মার্ট সাজবে। নারীর অধিকার সংশ্লিষ্ট আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। নারী আরো আধুনিক হবে, যদিও সমাজ পিছিয়ে থাকবে। ইতোমধ্যে সমাজে কালো বোরখার বদলে ফ্যাশনেবল রঙিন বোরখা পরার হার বেড়েছে। সিরিয়ালের কারণে নারী-পুরুষের সন্দেহবাতিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পেতে পারে বহুগুণে।তারও আলামত স্পষ্ট। নারীর মনোজগতে ঘটতে পারে আধুনিকতা নামক বহুমাত্রিকতা। ভোগী পুরুষের বহু প্রেম, বহুগামিতা বেড়ে যায় নি, তা-ই বা বলি কী করে? জীবন মানে বাণিজ্য-বিনোদন-ভোগ-লাম্পট্য।জীবনের এই মুক্তবাজারী সংজ্ঞা, কর্পোরেটদের এই মিথ্যে কল্পিত শেখানো জীবনের মানে রাষ্ট্র মানতে পারে, “আমরা মানবো না”।
যে জাতি মা-মাটি-মানুষের স্বকীয় সত্তার দখল নিতে সংগ্রাম করছে ২২৪ বছর, তারা ৫৪ হাজার বর্গমাইলের উপরের স্বাধীন-সার্বভৌম আকাশটাকে অন্যের দখলে ছেড়ে দেবে, তা কি হয়? এ জাতি একদিন জাগবে ফের। জাগো বাহে…