কবির কোনো দেশ নেই, ধর্ম নেই, কোনো সীমান্ত নেই, কোনো কাঁটাতারের বেড়া নেই। কবির বিচরণ অবাধ। – কবি জয় গোস্বামী
মানুষজন, গ্রাম-বাংলা, বিস্তীর্ণ শস্য ক্ষেত, ডোবা-নালা, গলিপথ, রাস্তাঘাট, বৃষ্টি। টং দোকান পাট, ফুটপাথ, কঞ্জুস বাড়িওয়ালা, পাড়ার রোমিও-জুলিয়েট, ক্যাসিনো। ঘুষখোর, মাতাল, ভণ্ড, প্রতারক, রাজনীতিবিদ, চাঁদাবাজ। ভূমিদস্যু, ডেভেলপার কিংবা প্রোমোটার। ধর্ষক, ভাসমান বেশ্যা, পথশিশু, নির্যাতন: পুরুষ কিংবা নারী। পূর্ব কিংবা পশ্চিম বাংলার সবই সাদৃশ্য। কাঁটাতারের বেড়া কিংবা কোনো সীমারেখা বিচ্ছিন্ন করতে পারে না কবি ও কবিতা। তাই তো কবি জয় গোস্বামী বলেন; ‘কবির কোনো দেশ নেই, ধর্ম নেই, কোনো সীমান্ত নেই, কোনো কাঁটাতারের বেড়া নেই। কবির বিচরণ অবাধ।’
কবি যখন লেখেন, ‘মনে মনে খুব ইচ্ছে করছে তোমার অপার্থিব কোমর জড়িয়ে ধরতে…’ কিংবা ‘বাংলা মানে রবীন্দ্রনাথ, শামসুর রাহমান/বুকের মাঝে অমর একুশ, রমনার ময়দান/বাংলা আমার ভালোবাসা’ অথবা ‘অতএব, ফুলবানু ডাকে সাড়া দেওয়া যাবে না/ঠিক হতেই, লক্ষ ফণা ছুঁয়ে দিলো তার সমস্ত ঝর্ণা দেওয়াল/ তাকিয়ে থেকে বাগান গড়ো ও রাধেশ্যাম…’ কিংবা ‘প্রচুর বৃষ্টি জমিয়ে রেখেছি/কিছু দিয়ে ভার মুক্ত হতে চাই।’— আমরা কি করে অস্বীকার করি; এ কবিতা আমার নয়।
কীর্তনখোলা অনলাইনে আমরা পশ্চিম বাংলার চারজন কবির পাঁচটি করে কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের প্রত্যয় করেছি। কবিগণ হলেন, নির্মাল্য কুমার মুখোপাধ্যায়, অতনু চট্টোপাধ্যায়, পৃথা রায় চৌধুরী এবং শর্মিষ্ঠা ঘোষ। কীর্তনখোলা অনলাইন – এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে চায়। সাথেই থাকুন।
সুধী পাঠক, ততক্ষণ কীর্তনখোলা অনলাইনের সাথেই থাকুন।