সৈয়দ এনামুল তাজ-এর কবিতা


কাহিল লাগিলো বেশ

গেরুয়া লুঙ্গির গীটে—
কাহিল লাগিলো বেশ;
শক্ত…

বাদামী পায়জামা খুলে—
ওড়ে যায় শান্তির কৈতর;
সফেদ…

জানাযা’য় কতো শত
দাঁড়ায়—
লাউফুলের মতোন সুরত;
যে যার…

মণে মণে মনে পড়ে
কুদরত—
খোদার মায়াবী আরস;
কেপে ওঠে…

দুল খায় মানুষের সাথে
মানুষের—
সংসার ধর্ম বোঝাপড়া;
মাবুদ…

ওঠিয়ে নিয়ে চলো,
যে যার—
পিরিতের মানু লগে করে;
দিগন্তে…

মিলিয়ে যাক সৃষ্টি;
লতাগুল্ম—
ফুল ফল পাখি; গেরুয়া
জীবন রাখি…

কাহিল লাগিলো বেশ;
শক্ত…

ডোডো

ডোডো, ছল করে কৈ গেছো
      ভং ধরে
আছো?
বড়ই পাতা গরম জলে
      কার মুখ
আঁকো?

তোমারে দেখিনি, ডোডো
       কবেকার সন্ধ্যায়
মনে তা-ও পোষে রাখি
      বকুলের গন্ধায়

ডোডো
ডোডো ফিরে এসো
                  ওড়ে
বসো পাঁজরে
ডোডো
ডোডো হাসি দাও
                  বার বার
নজরে

পানাহ্

জলে
চিৎ হয়ে ডুবতে থাকা মীন
বুকে
ধরফর ধরফর করা ডর
শেষে
তোমার কাছে অকুল হয়ে
পানাহ্
মাবুদ, রহম করো
রহম করো দীনে

শব সব

শব সব ধ্বনিহীন
কর্কশ কাকেদের
বাজপক্ষির ছানা

শব সব গতিহীন
বর্বর জল্লাদের
ডাকাতের হানা

শব সব না ফেরা
ছোট্ট সেই শিশু
ঘরে আয় ঘরে আয়
মা, ডাকে সারাবেলা।

সংসার

আযানের ধ্বনির মতোন মিষ্টি হোক সময়, সম্পর্ক।
নদীতে নদীতে মাছেদের সংসার হোক,
সংসার হোক কৃষাণীর ভাতের হাঁড়িতে হাঁড়িতে।

ফসলের খেতে ধান গাছে গাছে সংসার হোক
সংসার হোক গ্রীষ্মের আকাশে উড়তে থাকা
প্রজাপতিতে প্রজাপতিতে।

আব্বার সাথে আম্মার সংসার হোক
সংসার হোক পথের শেষে দাঁড়িয়ে থাকা উস্কুহুস্কু
পাগলটার সাথে গতসন্ধ্যায় মা হওয়া পাগলীটার।

সংসার হোক আমাদের রাগ, অভিমান
আমাদের যাবতীয় মন্দবাসার সাথে
আমাদের যাবতীয় ভালোবাসার।