নিশিন্দা-আমার নেশার নাম

শ্যামসন বুড়ন, নির্বাহী সম্পাদক

“ও আমার কপট পড়শী গো
ও আমার পাষাণ পরাইন্যা
আমি না পারিতে তোর শরণ লই।”– শীতের এ বিকেলে আমার তাঁর শরণ লই; বলা যায় শরণাপন্ন হই।  কারণ ইতমধ্যে তিনি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ  “নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ’’-এর জন্য কলি ও কলম পুরুস্কার পেয়ে গেছেন।

“ ওম কুয়াশার ভোর বেলাতে
ঠকঠকে কোন শীতের রাতে
শুয়ে শুয়ে খুব লুকায়ে
কবিতা পড়ে কেউ এখনও ?”

খুব লুকিয়ে লুকিয়ে, লাজুক ভঙ্গিতে এসে দাড়ায় কবি; হোসনে আর জাহান । চারুকলার মিনিয়েচার পুকুরে তার নরম-কোমল ছায়া। আমরা বিস্মিত হই, বিমূঢ় হই তার পবিত্র মুখের দিকে চেয়ে।  “পাতাটুনি  কিংবা আলতা মুনিয়ার বেশে” – কবি বলে চলেন তার বেড়ে ওঠার কথা। গ্রাম্য সরলতায় বিনয়ী স্বল্পভাষী অথচ দৃঢ় আলাপচারিতায় ‘নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ’-এর মতো গভীরের মানুষটাকে বুঝতে আমাদের বেশী সময় লাগে নি – গ্রামীণ প্রকৃতি এবং যাপিত-জীবনই যে তার কবিতার উপজিব্য । যেখানে ছন্দটা বিবেচ্চ নয়। তার কবিতার কথা মধ্যে, কথার মধ্যে “নিশিন্দিা পাতার ঘ্রাণ” – যেনো “মাদকচোখে নিখুঁত হিসাব বেহিসাবি/মনের যত কথার খেলা চোখেতে সবই/লাগছে ভালো তোমার পাগলামি।” যে ঘ্রাণের মাদকচোখে সে অবলিলাক্রমে বলে ওঠে- ‘আমি তো গ্রামের মেয়ে। ঢাকায় এসেছি পাড়াশুনা আর জীবনজীবিকার জন্য এবং শেষে প্রর্যন্ত গ্রামেই ফিরে যাব। প্রকৃতি, গ্রাম্যতা ও যাপিত-জীবনই আমার কবিতার উপজীব্য।”

“ব্রক্ষপুত্র থেকে উড়ে আসা সাদা বকটা রোদের টুটি চেপে বললো “আর নয়, এবার থামো”। কিন্তু আমরা থেমে যাই।  কবি হাটেন, কবিকে হাটতে হয় মহাকালের রাজপথ দিয়ে যেখানে “গহিনে জমতে থাকে বেদনার মতো সুখ।”

-আসুন আমরা পাঠ করি বেদনার মতো কিছু সুখ…

পাঠ করুন ‘নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ’